নিজস্ব প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজারের কালুর দোকান এলাকায় ভাইয়ের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ১০ জুন পেকুয়ায়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানান, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পেকুয়ার চর এলাকার আক্তার আহমদের পুত্র আব্দু রহমানের সাথে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই কিশোরীর।
গত ১০ জুন সকালে ওই কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে কক্সবাজারস্থ কালুর দোকান এলাকায় প্রেমিক আব্দু রহমানের বড় ভাই ছৈয়দের বাসায় নিয়ে যান আব্দু রহমান। সেখানে কিশোরীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে ওই প্রেমিক। বিষয়টি নিয়ে ধর্ষিতা ভাবির কাছে অভিযোগ করলে তাকে আবারো বিয়ে করবে আশ্বাস দিয়ে তিন দিন পর ১৩ জুন সকালে পেকুয়া গোয়াখালী এলাকায় নিয়ে আসেন প্রেমিক । সেখানে কিশোরী তার বিয়ের জন্য জোর দিলে প্রেমিক আব্দু রহমান কালক্ষেপণ করতে থাকেন।
খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবার তাকে উদ্ধার করতে আসলে মেয়েসহ ধর্ষককে আটক করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেটের সহযোগিতায় ধর্ষক পালিয়ে যান বলে জানান ওই কিশোরী।
কিশোরীর মা জানান, আমরা খবর পেয়ে পেকুয়া গোয়াখালী মুবিনের বাসার সামনে তার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য গেলে স্থানীয় কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় ধর্ষক আব্দু রহমান পালিয়ে যান৷ তিনি আরো জানান, তার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাইতে তিনি এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কিশোরীর পিতা বলেন, আমি অসহায় পঙ্গু মানুষ আজ আমার মেয়ের বিচার পাচ্ছি না। মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েও। তারা বিচার করবেন কিংবা ছেলে হাজির হচ্ছেন না বলে কালক্ষেপণ করছেন৷ তিনি এখন থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন বলে জানান এবং তিনি ধর্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধর্ষিতার মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এ দিকে এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য বলেন, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবো।