ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) গেলেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আহসান।
গত ১৬ জুন তাঁর শেষ কর্মদিবসে শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন- ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ হারুন অর রশীদ, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আবুল হাসনাত মোঃ মফিজুল হক, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুন বিকাশ বড়ুয়া, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম মোঃ তারেক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ আজিজুল মোস্তফা বুলু, রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ অহিদুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মফিদুল আলম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ উল্লাহ, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুজিবুল আলম, অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন ফারুকী, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক মোহাম্মদ কাসেম, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অলক চক্রবর্তী, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মধুছন্দা দেওয়ানজী, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক ওবায়দুল হক।
শিক্ষক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মিঠুন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক নুরুল হামিদ, গীতা থেকে পাঠ করেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক উত্তম কান্তি দত্ত, ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাধু বড়ুয়া চৌধুরী।
অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ফজলুল করিম, রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান বিপ্লব কান্তি পাল, অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আ.ম আনোয়ারুল হক, পটিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ সোলাইমান, সাতকানিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু রায়হান মোঃ আশিকুর রহমান, পটিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ফেরদৌস আলম, চট্টগ্রাম কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. কনক কুমার বড়ুয়া, সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রামের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর বিশ্বজিৎ চৌধুরী, হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, চট্টগ্রামের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর বিপ্লব কুমার দত্ত, রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রনজিত বিশ্বাস, কক্সবাজার আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর এডভোকেট ফরিদুল আলম, সাউথইস্ট ব্যাংক চট্টগ্রাম জামালখান শাখার ব্যবস্থাপক কল্লোল পাল প্রমুখ।
বক্তাগণ বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আহসানের কর্মময় দীর্ঘ জীবনের স্মৃতিচারণ ও তাঁর অবসর জীবনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আহসান কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “একক প্রচেষ্টায় একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। সকলের সমন্বিত চেষ্টা ও আন্তরিকত দায়িত্ব পালনে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে এ কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অত্যন্ত আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান। করোনা মহামারীর সময়ে সকলে যেভাবে আন্তরিক সহায়তা করেছেন এ প্রতিষ্ঠান পরিচলানায়, তা মনে রাখার মতো।
তিনি তাঁর পরিবার পরিজন নিয়ে সুস্থ ও নিরাপদ অবসর জীবন যাপনের জন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
শেষ কর্মদিবসে সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষক পরিষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আহসান।
উল্লেখ্য, শিক্ষক পরিষদের পরিকল্পনায় কম্পিউটার অপারেটর সাঈদুর রহমানের কারিগরি সহযোগিতায় বিদায়ী অধ্যক্ষের কর্মজীবনের নানা সময়ের স্মৃতি নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মানুষ চলে যায়, কর্মে বেঁচে রয়। অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল আহসান সরকারি নিয়মে সরকারি চাকুরি হতে অবসর গ্রহণ করলেও এ প্রতিষ্ঠান তাঁকে মনে রাখবে। তিনি ছিলেন সময়ের প্রতি অকৃত্রিম অনুগত কর্মকর্তা। তাঁর সরল, নির্লোভ, কর্ম ও দক্ষতা দিয়ে সকলের মন জয় করেছেন। ১৯৯৩ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হতে ২০০৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৫ মাস পটিয়া সরকারি কলেজে ছিলেন। এছাড়া বাদবাকি সময়টি কক্সবাজার সরকারি কলেজেই অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৫ মে তিনি কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত হয়ে ১৬ জুন ২০২২ খ্রি. কর্মজীবনের ইতি টানেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তাঁর কন্যা আমরিন আহসান ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি হতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন এবং ছেলে আহসান তাজওয়ার কক্সবাজার সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তাঁর সহধর্মিনী একজন গৃহিণী।
উল্লেখ্য, প্রফেসর কামরুল আহসানের মা রেজিয়া বেগম একজন রত্নগর্ভা এবং বাবা মোমতাজুল হক একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ছিলেন।